Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন ও পুষ্টি নিরাপত্তায় প্রাণিসম্পদ

কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, পুষ্টি নিরাপত্তা এবং দরিদ্রতা নিরসনে প্রাণিসম্পদের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ একটি সম্ভাবনাময় ও লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই সাথে উপযুক্ত প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণ প্রাণিসম্পদ খাতকে আজ কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনের একটি অন্যতম প্রধান হাতিয়ারে পরিণত করেছে। দেশের বেকার জনগোষ্ঠী এবং নারীরা প্রাণিসম্পদ পালনে সম্পৃক্ত হয়ে আত্মকর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছে। দেশের বহু পরিবার আজ কেবল দুটি উন্নত জাতের গাভী অথবা স্বল্প পরিসরে ব্রয়লার/লেয়ার মুরগি পালন করে স্বাবলম্বিতার মুখ দেখেছে। এ ছাড়াও প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও নারীর ক্ষমতায়নে প্রাণিসম্পদ খাত বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।

প্রাণিসম্পদ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
স্থিরমূল্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জিডিপিতে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান ১.৭৩% ও প্রবৃদ্ধির হার ৩.১০%। মোট কৃষিজ জিডিপিতে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান প্রায় ১৪.০৯%. তা ছাড়া ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদিত কাঁচা ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি আয় ছিল প্রায় ৪৩১৭.৮৬ কোটি টাকা (সূত্র : এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো, ২০১৪-১৫)। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০% সরাসরি ও ৫০% পরোক্ষভাবে প্রাণিসম্পদ খাতের ওপর নির্ভরশীল। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভিশন হচ্ছে দেশে দুধ,  গোশত ও ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদা পূরণপূর্বক মেধাবী, স্বাস্থ্যবান ও বুদ্ধিদীপ্ত জাতি গঠন করা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আধুনিক-লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সম্প্রসারণ সম্পর্কিত কাজ করে যাচ্ছে।


প্রাণিসম্পদ ও পুষ্টি নিরাপত্তা
মেধাবী ও বুদ্ধিদীপ্ত জাতি গঠনে প্রাণিজ আমিষ তথা দুধ, মাংস ও ডিমের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে দুধ, গোশত ও ডিমের উৎপাদন এবং জনপ্রতি প্রাপ্যতা বৃদ্ধির জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। বিগত ২০০৫-০৬ অর্থবছরে দুধ, গোশত ও ডিমের উৎপাদন ছিল যথাক্রমে ২২.৭০ লাখ টন, ১১.৩০ লাখ টন, ৫৪২.২০ কোটি টি। বর্তমান সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা এবং ভিশন ২০২১ এর আলোকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক কার্যকর ও ফলপ্রসূ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে বিগত ২০১৪-১৫ অর্থবছর শেষে দুধ, গোশত ও ডিমের উৎপাদন বেড়ে যথাক্রমে ৬৯.৭০ লাখ টন, ৫৮.৬০ লাখ টন, ১০৯৯.৫২ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ফলে গত ৯ বছরে দুধ, গোশত ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৩.০৭ গুণ, ৫.১৯ গুণ এবং ২.০৩ গুণ ও জনপ্রতি প্রাপ্যতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২২.০০ মিলি/দিন, ১০২.৬২ গ্রাম/দিন ও ৭০.২৬ টি/বছর।

 

দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরাসরি গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সাথে দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রাণিসম্পদ বিভাগের একটি গুরুত্বপর্ণ কাজ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর লাখ লাখ বেকার যুবক, যুব মহিলা, ভূমিহীন ও প্রান্তিক কৃষককে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালনে সম্পৃক্ত করে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত পাঁচ বছরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রায় ৫০.১৭ লাখ (বেকার যুবক, যুব মহিলা, দুস্থ মহিলা, ভূমিহীন ও প্রান্তিক) কৃষককে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালনে প্রশিক্ষণ প্রদান করে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব ঘোঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন উদ্যোক্তা উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম চলমান আছে, যা বাস্তবায়ন হলে বেসরকারি পর্যায়ে প্রাণিসম্পদের ব্যাপক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ফলে দেশে কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য  হ্রাসকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।


দারিদ্র্য বিমোচন ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ
(ক) স্বাস্থ্যসম্মত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ : এ দেশে সাধারণত ষাঁড় বা বলদ হালচাষ, গাড়ি টানা প্রভৃতি শক্তি উৎপাদন সম্পর্কিত কাজে ব্যবহৃত হয় এবং খাদ্যাভাবে দুর্বল থাকে। ফলে গোশত উৎপাদন আশানুরূপ হয় না। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লাভজনকভাবে গোশত উৎপাদনকে লক্ষ রেখে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্যাকেজ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এর ফলে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গরু নির্বাচন, কৃমিমুক্তকরণ, পুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাত্র ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে অধিক গোশতবিশিষ্ট গরু বাজারজাত করে দেশের পুষ্টি চাহিদা মেটানো হচ্ছে এবং খামারিরা অধিক লাভবান হচ্ছেন।
(খ) ক্ষুদ্র খামারিদের জন্য বাণিজ্যিক লেয়ার ও ব্রয়লার পালন মডেল : প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহায়তায় ক্ষুদ্র খামারি পর্যায়ে বাণিজ্যিক লেয়ার ও ব্রয়লার পালন মডেল অনুযায়ী মুরগি পালন করে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণসহ অর্থনৈতিক লাভবান হচ্ছে। এ ছাড়াও অধিদপ্তর কর্তৃক বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে গত এক দশকে পোলট্রি সেক্টরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক ১৪০০ টন মুরগির গোশত ও ১ কোটি ৫০ লাখ পিস ডিম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে, যা অভ্যন্তরীণ চাহিদার ১০০% পূরণ করার জন্য যথেষ্ট (সূত্র : সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ, সিপিডি)।
(গ) স্ল্যাট/স্টল পদ্ধতিতে ছাগল পালন বাংলাদেশে সাধারণত উন্মুক্ত অবস্থায় ছাগল পালন করা হয়ে থাকে এবং ছাগলের জন্য বিশেষ কোনো ঘর তৈরি করা হয় না। এর ফলে ছাগল প্রায়ই নিউমোনিয়া ও বিভিন্ন প্যারাসাইটিক রোগে আক্রান্ত হয়, ফলে উৎপাদন মারাত্মক হারে ব্যাহত হয়। এসব সমস্যা রোধে এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিজ্ঞানভিত্তিক স্ল্যাট পদ্ধতিতে বাসস্থান ও সম্পূর্ণ আবদ্ধাবস্থায় স্টলফিডিং প্রযুক্তির সম্প্রসারণে অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।
(ঘ) গ্রামীণ পরিবেশে হাঁস পালন প্রযুক্তি  নদীমাতৃক কৃষিনির্ভর এ দেশে প্রাচীনকাল থেকেই পারিবারিকভাবে হাঁস পালন হয়ে আসছে। তবে বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তিতে বছরব্যাপী আবদ্ধ বা অর্ধআবদ্ধ অবস্থায় উন্নত জাতের খাকি ক্যাম্পবেল, জিন্ডিং, ইন্ডিয়ান রানার প্রভৃতি হাঁস আদর্শ ব্রুডিং ও সুষম খাদ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পালনে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে পালিত হাঁস মাত্র ১৮-২০ সপ্তাহ থেকে ডিম পাড়া আরম্ভ করে এবং গড়ে বছরে ২৫০ থেকে ৩০০টি ডিম পাওয়া যায়।
(ঙ) পারিবারিক পর্যায়ে কোয়েল/ককরেল/ খরগোশ পালন প্রযুক্তি : জনবহুল এ দেশের খাদ্য ও পুষ্টি ঘাটতি মেটাতে প্রয়োজন খাদ্যের বৈচিত্র্যময়তা। এ লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ খাতে নতুন সংযোজন হয়েছে খরগোশ, ককরেল ও কোয়েল পালন। দ্রুত বর্ধনশীল, স্বল্প পুঁজি ও অধিক লাভজনক হওয়ায় এ সেক্টর দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে

(চ) প্রাণিসম্পদের চিকিৎসা উন্নয়নে প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ
গবাদিপশুর কৃমিরোগ দমন মডেল।
পিপিআর রোগের সমন্বিত চিকিৎসা।
ELISA ভিত্তিক ক্ষুরারোগ নির্ণয় পদ্ধতি।
পিপিআর ও রিন্ডারপেস্ট রোগ নির্ণয়ে EISA পদ্ধতি।
বাণিজ্যিক খামারে মুরগির জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা।
পিপিআর ও সালমোনেলা ভ্যাকসিন উদ্ভাবন ও ব্যবহার ইত্যাদি।


এ ছাড়াও অধিদপ্তরের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর এবং জেলা প্রাণী হাসপাতালগুলো থেকে কৃষক ও খামারিদের রুগ্ণ গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির চিকিৎসা, টিকা প্রদান এবং বিভিন্ন পরামর্শ সেবা দেয়া হয়। এ সেবা কার্যক্রম সেবাকর্মীদের মাধ্যমে গ্রামীণ পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে প্রায় ৭ কোটি ৭৫ লাখ রুগ্ণ পশু-পাখিকে চিকিৎসা সেবা ও  ১৯ কোটি ২৩ লাখ পশু-পাখি রোগ প্রতিরোধের জন্য ১৭ প্রকারের টিকা দেয়া হয়।


(ছ) মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কারিগরি শিক্ষার প্রসার : ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে ৫ বছরমেয়াদি ভেটেরিনারি গ্র্যাজুয়েশন কোর্সের শিক্ষা কার্যক্রম ২০১৩-১৪ শিক্ষা বর্ষ থেকে শুরু হয়েছে। এই কলেজে প্রতি শিক্ষা বর্ষে ৬০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হচ্ছে এবং তাদের শিক্ষাকার্যক্রম নিয়মিতভাবে চলছে। সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ভেটেরিনারি শিক্ষার প্রসারে নতুন একটি সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান আছে। এ ছাড়াও প্রাণিসম্পদ খাতে সাব-প্রফেশনাল জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘এসটাবলিসমেন্ট অব ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি প্রজেক্ট’ প্রকল্পের আওতায় ৫টি প্রাণিসম্পদ ডিপ্লোমা ইনাস্টিটিউট স্থাপনের কার্যক্রম চলমান আছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি শিক্ষা বর্ষে ২০০ জন ছাত্রছাত্রী প্রাণিসম্পদের ওপর ডিপ্লোমা কোর্সে অধ্যয়ন করতে পারবে।


(জ) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম  প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বেকার যুবক ও যুব মহিলা, দুস্থ পরিবার, ভূমিহীন, প্রান্তিক চাষিদের আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ সৃষ্টি ও গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রমে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পের (১ম পর্যায়) মাধ্যমে ২৫.০৪ কোটি টাকা ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রমে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) মাধ্যমে ৮.৬৭ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া দারিদ্র্য বিমোচনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের (ছাগল, ভেড়া ও হাঁস-মুরগি) কর্মসূচির মাধ্যমে ৪৪০টি উপজেলায় ৩২.৯৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। নতুন প্রণীত কার্যনির্দেশিকা-২০১১ অনুসারে পুনঃক্ষুদ্রঋণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে। বর্তমানে দুগ্ধ খামারিদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক ২০০ কোটি টাকার ফান্ড গঠিত হয়েছে। অচিরেই এই ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চালু হবে।
 

(ঝ) উন্নয়ন প্রকল্প : প্রাণিসম্পদের সার্বিক উন্নয়নে অধিদপ্তর কর্তৃক বর্তমানে ১৫টি প্রকল্প চলমান আছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাণিজ পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।


উপসংহার : প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বর্তমান সরকার কর্তৃক প্রণীত ভিশন-২০২১ এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৮৫ শতাংশ নাগরিকের মানসম্পন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণের নিমিত্তে দুধ, মাংস ও ডিমের প্রাপ্যতা যথাক্রমে দৈনিক ১৫০ মিলি, দৈনিক ১১০ গ্রাম ও বছরে ১০৪টিতে উন্নীত করা এবং প্রাণিসম্পদ খাতে প্রত্যক্ষভাবে ১১২ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রাণিসম্পদের অগ্রযাত্রার মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের অবসান ঘটানোই আমাদের অঙ্গীকার।

 

অজয় কুমার রায়*
* মহাপরিচালক (অ. দা.), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, কৃষি খামার সড়ক, ঢাকা-১২১৫


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon